গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন


আচ্ছালামু আলাইকুম প্রিয় দর্শক - দৈনিক শিক্ষা ব্লগর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন নিয়ে আলোচনা করব।

আপনি কি গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? যদি আপনার এই বিষয়টি সম্পর্কে জানা না থাকে তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। আমরা অনেকেই ড্রাগন খেয়ে থাকি। কিন্তু গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খেলে কি কি উপকার? এই সম্পর্কে অনেকেই জানি না। তাই আজকে আমি এই সম্পর্কে সঠিকভাবে জানানোর চেষ্টা করব। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম, ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা, বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা, ড্রাগন ফলের পুষ্টি গুনাগুণ, ড্রাগন ফলের অপকারিতা, ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময়, এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।

ভূমিকা

গর্ভাবস্থায় অনেক মানুষের বিভিন্ন খাবার খেতে বারণ করা হয়। তার কারণ গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন খাবার খেলে গর্ভে থাকা সন্তানের বিভিন্ন সমস্যার দেখা দিতে পারে। কিন্তু গর্ভাবস্থায় এমন কিছু পুষ্টিকর ফল খেতে হবে যেগুলো খেলে গর্ভবতী মা ও শিশু উভয় সুস্থ থাকে।

তাই আজকে আমি গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খেতে পারেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন। এছাড়াও ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কেও জানতে পারবেন।

তাই আপনি যদি এই সমস্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ এই আর্টিকেলে এই বিষয়গুলো সঠিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে এই সমস্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে জেনে নিন।

বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা

ড্রাগন ফল একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর ফল যা বাচ্চাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার রয়েছে যা স্বাস্থ্যর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনেক ছোট বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ানো হয়। কিন্তু এই ড্রাগন ফলের যে উপকারিতা রয়েছে সেটা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না।

তাই আজকের এই আর্টিকেলে বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আপনি যদি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।

ড্রাগন ফলে যে পুষ্টিগুণ রয়েছে সেটি বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। তাই যাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে তারা ড্রাগন ফল খেতে পারেন। এছাড়াও এই ড্রাগন ফল বাচ্চাদের ভিটামিন এবং বিটা ক্যারোটিনের চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। তাই আপনার বাচ্চার যদি ভিটামিনের অভাব হয় তাহলে নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়ানোর অভ্যাস তৈরি করুন।

এই ড্রাগন ফলের মধ্যে যে পুষ্টি থাকে সেটি আপনার বাচ্চার হার্টের উন্নতি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও প্রাপ্তবয়স্ক মানুষেরও হার্টের সমস্যা দূর করতে এই ফলটি সাহায্য করে। তাই খাবারের তালিকায় প্রতিদিন ড্রাগন ফল রাখুন এবং নিয়মিত খান এতে করে অনেক সুস্থ থাকবেন। এই ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা আপনার শরীরের ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও এটি রক্ত সঞ্চালন করতেও সহায়তা করে। 

তাই প্রতিনিয়ত ড্রাগন ফল খেয়ে নিজের শরীর সুস্থ রাখুন। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজমশক্তি উন্নত করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এটি পরিপাক তন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। আপনি যদি আপনার বাচ্চাকে ড্রাগন ফল খাওয়াতে পারেন তাহলে আপনার বাচ্চার ত্বকের গঠন ও কমলতা বজায় রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করবে। 

এছাড়াও এই ড্রাগন ফলে যে পুষ্টিগুণ রয়েছে সেটা আপনার কিডনি ভালো রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই আপনি যদি আপনার বাচ্চা সুস্থ রাখতে চান তাহলে প্রতিদিন একটু করে হলেও ড্রাগন ফল খাওয়ান। এতে করে অনেক উপকার হবে। আশা করি বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে আপনি হইত অনেক উপকৃত হয়েছেন।

ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময়

ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন কারণ আজকে আমরা এই আর্টিকেলে এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব যদি আপনার এই বিষয়টি জানার আগ্রহ থাকে তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন চলুন তাহলে আর দেরি না করে ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন।

এবার জানিয়ে দিচ্ছি ড্রাগন ফল খাবার সঠিক সময়। ফলের সরল শর্করা ভালোভাবে শোষণ হওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় প্রয়োজন। তাই ভোরবেলা অভুক্ত অবস্থায় অথবা দুটি আহারের মধ্যবর্তী সময় হলো ড্রাগন ফল খাওয়ার উপযুক্ত সময়। কারণ এই উভয় অবস্থায় বিভিন্ন প্রকার এনযাই খাদ্য পরিপাকে দ্রুত কাজ করে। ফলের সব পুষ্টি উপাদান আঁশ ও সরল চিনি দেহে সহজে পরিপাক হয় এবং ফল থেকে পাওয়া উপকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। খাবার খাওয়া ঠিক পরেই ফল খাওয়া ঠিক নয়।

ফল মুখ থেকে সরাসরি পাকস্থলীতে যাওয়ার পথে অন্য খাবার দিয়ে বাধা প্রাপ্ত হলে খাবার পচে এসিড তৈরি হয়। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। খাবার খাওয়ার কমপক্ষে ৩০ মিনিট পর ফল খাওয়া উচিত। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ফল খাওয়ার সঠিক সময় হল খাবার খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর কিংবা খাবার খাওয়ার দুই ঘন্টা আগে। ব্যায়ামের ঠিক আগে বা  পরের সময়ে ড্রাগন কিংবা অন্যান্য ফল খেতে পারেন। ফলে সরল শর্করা ব্যায়ামের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে এবং ব্যায়ামের পর দেহে শক্তির যে ক্ষয় হয় তা পুরনো ভূমিকা রাখে।

গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েরা বিভিন্ন খাবার খেতে ভয় করেন। কারণ ওই সময়টা গর্ভবতী মায়ের অনেক মূল্যবান সময় হয়ে দাঁড়ায়। ওই সময়টাতে নিজের খেয়াল না রেখে গর্ভ থাকা সন্তানের যথাযথ খেয়াল রাখে। গর্ভে থাকা সন্তান ভালো রাখার জন্য বিভিন্ন খাবার এড়িয়ে চলেন। ওই সময় অনেক চিন্তা কাজ করে গর্ভবতী মায়ের। কি কি খাবার খেলে গর্ভে থাকা সন্তান ভালো থাকবে আবার কি কি খাবার খাওয়া  যাবে না এই বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে থাকেন।

তবে ওই সময় বিভিন্ন পুষ্টিকর ফল খাওয়া গর্ভবতী মায়ের অত্যন্ত প্রয়োজন পড়ে। অনেক ফল রয়েছে যেগুলো খেলে মা ও শিশু উভয় সুস্থ থাকে।  তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আপনি যদি এই বিষয়টি সঠিকভাবে জানতে পারেন তাহলে আশা করি অনেক উপকৃত হবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে এ বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিন।

গর্ভাবস্থায় নারীদের জন্য ড্রাগন ফল অত্যন্ত উপকারী এই ফলটি খাওয়ার জন্য ডাক্তারেরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন কারণ এই ড্রাগন ফলে যে পুষ্টিগুণ রয়েছে সেটি গর্ভবতী মা ও গর্ভে থাকা শিশু দুইজনেরই স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই আপনি চাইলে গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খেতে পারেন এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে অতিরিক্ত না খেয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবেন। 

অতিরিক্ত খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তবে গর্ভাবস্থায় পেঁপে ও আনারস খাবেন না এতে করে সমস্যা দেখা দিবে। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের শরীরে আয়রন ও ওমেগা ৩ এর ঘাটতি দেখা দেয় এই ঘাটতি পূরণ করতে ড্রাগন ফল সাহায্য করেআশা করি বুঝতেই পারছেন গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা কতটুকু রয়েছে।

ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা

পূর্বে আমরা আলোচনা করেছি গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে। এখন আমরা জেনে নেব ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। অনেকেই রয়েছে যারা ড্রাগন ফল খেতে অনেক পছন্দ করেন। কিন্তু এর যে উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে সে বিষয়ে সঠিক ধারণা রাখেন না।

তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আপনি যদি একজন ড্রাগন প্রেমী হয়ে থাকেন তাহলে আশা করি আর্টিকেলটির অংশ সম্পূর্ণ পড়বেন।  চলুন তাহলে আর দেরি না করে ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন।  

একটি মাত্র ফল সঠিক নিয়মে খেলে মরণব্যাধি ক্যান্সার থেকেও মুক্ত থাকতে পারবেন। এছাড়াও মিলবে আরো অনেক উপকার। হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আপনাদের এমন একটি ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে জানাবো যা বিদেশি ফল হলেও এখন বাংলাদেশে সারা বছর পাওয়া যায়। এর নাম ড্রাগন ফল। ক্যাকটাস জাতীয় এই ফলটির স্বাস্থ্য উপকারিতা শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠবে। ড্রাগন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল।

এতে রয়েছে ফেনোলিক এসিড এবং বিটা সায়ানিনের মত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই উপাদানগুলো শরীরের কোষগুলোকে ফ্রি রেডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। এটি ক্যান্সার এবং অকালে ভরিয়ে যাওয়ার মত সমস্যা থেকে বাঁচায়। ড্রাগন ফলে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় এটি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি বেড়ে যায়। যার কারণে সাধারণ অসুখ আপনাকে সহজে কাবু করতে পারবেনা। রোজ একটি মাত্র ড্রাগন ফল খেলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। 

এই ফল শরীরের উপকারের ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যে কারণে হজম ক্ষমতাও ভালো হয়। এটি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়াতে পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে এই ফল। নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে, কারণ এতে আছে ক্যান্সার বিরোধী উপাদান। বিশেষ করে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে এই ফল। ড্রাগন ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি তাই এই ফল খেলে খুব দ্রুত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। 

এটি ক্যান্সার ছাড়াও আলঝাইমার (Alzheimer's), পারকিনসন (Parkinson's), ডায়াবেটিস ইত্যাদি রোগীর ঝুঁকি কমায়। ড্রাগন ফলে থাকে পর্যাপ্ত ফাইবার যা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকা যায়। তাই যারা এ ধরনের ঝুঁকিতে আছেন তারা এখন থেকে নিয়মিত ড্রাগন ফল খেতে পারেন। বিটা কেরোটিন সমৃদ্ধ এর ফলটি নিয়মিত খেলে দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকে।

একই সঙ্গে ছানি পড়ার ঝুঁকিও কমে। আইরনের চমৎকার উৎস রঙিন ড্রাগন ফল। যাদের রক্তশূন্যতার সমস্যা আছে তারা প্রতিদিন এই উপকারী ফলটি খেলে খুব দ্রুতই শরীরের রক্ত বাড়বে। আশা করি ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। এবার জানুন ড্রাগন ফলের অপকারিতা সম্পর্কে।

ড্রাগন ফলের অপকারিতা

ড্রাগন ফলের উপকারিতা আপনারা সকলেই জানেন সব কিছুর উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে তাই ড্রাগন ফলেরও ঠিক তেমনি উপকারিতার পাশাপাশি অবকারিতাও রয়েছে অনেকেই ড্রাগন ফল খেতে পছন্দ করেন এই ড্রাগন ফল শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে কিন্তু আপনারা কি জানেন ড্রাগন ফলের অপকারিতা কি কি রয়েছে  হয়তো অনেকেই জানেন না তাই এই আর্টিকেলের অংশ থেকে আপনি খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।

  • অতিরিক্ত পরিমাণে ড্রাগন ফল খেলে আপনার এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • এছাড়াও বেশি পরিমাণে ড্রাগন ফল খেলে ডায়রিয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • ড্রাগন ফলের বীজ যদি আপনি চিবিয়ে না খান তাহলে আপনার কখনো কখনো হজম করতে সমস্যা দেখা দিতে পারি। 
  • এছাড়াও আপনি যদি বেশি পরিমাণে ড্রাগন ফল খান তাহলে আপনার হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ড্রাগন ফলের পুষ্টি গুনাগুণ

আজকে আমরা ড্রাগন ফলের পুষ্টি গুনাগুণ সম্পর্কে জেনে নিবো।  ড্রাগন ফলে ক্যালরি থাকে খুব কম পরিমাণে। এতে থাকে পর্যাপ্ত ডায়েটারি, ফাইবার। এক কাপ ড্রাগন ফলে থাকে ১৩৬ ক্যালোরি, ৩ গ্রাম প্রোটিন, ৬০ গ্রাম ফাইবার, আইরনের মাত্রা ৮ শতাংশ, ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা ১৮ শতাংশ, ভিটামিন সি এর মাত্রা ৯ শতাংশ, ভিটামিন ই এর মাত্রা ৪ শতাংশ এবং ফ্যাট একেবারে থাকে না। ফ্যাট একেবারে না থাকায় ডায়েটলিস্টে এই ফলটি অবশ্যই রাখুন। এবার জানিয়ে দিচ্ছি ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম।

ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম

আজকে আমরা ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিবো। প্রথমে একটি চামচ দিয়ে মাংস বের করে নিন। চামড়ার প্রান্ত বরাবর চামচ চালান এবং তারপর মাংস আলগা করার জন্য নিচে স্কোপ করুন। ফল পাকা হলে খোসা থেকে মাংস খুব সহজে আলাদা হয়ে যাবে। এবার ড্রাগন ফল খান।

এটিকে সরাসরি চামচে তুলে মুখে পুরে দিন খেতে দারুন লাগবে। আবার আপেলের মতো চার ভাগে কেটে নিয়েও খেতে পারেন। ড্রাগন ফল ফ্রিজে রেখে তারপর কেটে খেলে দারুন স্বাদ পাবেন। ড্রাগন ফলের চামড়া বা উপরের রঙিন খোসা কিন্তু কখনোই খাবেন না।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা এবং ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।

এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।

আপনার আসলেই দৈনিক শিক্ষা ব্লগর একজন মূল্যবান পাঠক। গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন এর আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
2 টা কমেন্টট
  • Md Julhas Uddin
    Md Julhas Uddin

    🤰🐉 গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা নিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট!
    মায়েদের জন্য এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। আপনার লেখা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার! 🌸💖
    আশা করি সামনে আরও এমন স্বাস্থ্য সচেতন পোস্ট পাবো। 🙏✨

    • Arafat
      Arafat

      আপনার আন্তরিক প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ! 😊
      গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকার জন্য সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়া আমাদের অঙ্গীকার। ভবিষ্যতেও আপনার জন্য এমন দরকারি ও স্বাস্থ্যসম্মত পোস্ট নিয়ে আসার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। শুভ থাকুন ও সুস্থ থাকুন! 🤰🌸💫

এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।

comment url