শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন


আচ্ছালামু আলাইকুম প্রিয় দর্শক - দৈনিক শিক্ষা ব্লগর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন নিয়ে আলোচনা করব।

শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এই সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। শসা খেতে কম বেশি অনেকেই পছন্দ করেন। কিন্তু শসা খেলে কি কি উপকার ও ক্ষতি সেই বিষয়ে হইত তেমন কোনো ধারণা রাখেন নেই। তাই আজকে আমি এই সম্পর্কে সঠিকভাবে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে ত্বকে শসার উপকারিতা, শসা খাওয়ার নিয়ম, শসা খাওয়ার অপকারিতা, শসা খাওয়ার সঠিক সময়, খালি পেটে শসা খাওয়ার উপকারিতা, শসা খেলে কি গ্যাস হয়, এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।

ভূমিকা

শসা খেতে কম বেশি সকলেই পছন্দ করেন। এই শসা কাঁচা খাওয়া যায়, রান্না করে খাওয়া যায়, সালাদ করেও খাওয়া যায়। এছাড়াও শসার রস করেও খাওয়া যায়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে শসার রস খেলে শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকার হয়। শশা পেট ঠান্ডা রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত শসা খেলে পেট ফোলা, বমি বমি ভাব, গ্যাসের সমস্যা সহ আরো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এছাড়াও এই আর্টিকেলে ত্বকে শসার উপকারিতা সম্পর্কেও আলোচনা করবো। তাই আপনি যদি এই সমস্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে জেনে নিতে পারেন তাহলে আশা করি অনেক উপকৃত হবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।

খালি পেটে শসা খাওয়ার উপকারিতা

আজকে আমরা আলোচনা করব খালি পেটে শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। অনেকেই শসা খেতে পছন্দ করেন। এই শসা শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি একটি ঠান্ডা জাতীয় খাবার যার কারণে সবাই খেতে পছন্দ করেন। এটি খেলে পেট অনেক ঠান্ডা করে। এই শসার আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে যে উপকারিতা আজকের এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

খালি পেটে শসা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও যারা ওজন নিয়ে খুব চিন্তার মধ্যে রয়েছেন তারা প্রতিদিন শসার রস খেতে পারেন। কারণ শসা ওজন কমানোর জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও এই শসার রসে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আপনার শরীরের কোষের ক্ষতি কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই আপনারা যারা শসা খান না তারা আজকে থেকে খেতে পারেন।

এই শসার আরো অনেক গুনাগুন রয়েছে শসার মধ্যে উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে যা আপনার রক্তচাপ কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে। এছাড়াও ত্বকের আরো অনেক উপকারের জন্য শসা খুবই উপকারী। তাই আপনারা প্রতিদিনের ডায়েটে এই শসার রস রাখতে পারেন। শসার রস শরীর থেকে টক্সিন দূর করে এবং ত্বক অনেক পরিষ্কার ও সুস্থ রাখে। তাহলে বুঝতেই পারছেন খালি পেটে শসা খাওয়ার উপকারিতা কতটুকু রয়েছে।

শসা খেলে কি গ্যাস হয়

আমরা অনেকেই শসা খেতে পছন্দ করি। কারণ শসা বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। কেউ রান্না করে খায়, কেউ সালাদ তৈরি করে খায়, কেউ আবার খালি খেয়ে থাকে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে শসা খেলে কি গ্যাস হয় এই বিষয়ে? তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। তাই আপনি যদি এই বিষয়টি সঠিকভাবে জেনে নিতে পারেন তাহলে আশা করি অনেক উপকৃত হবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।

হ্যাঁ শসা খেলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে গ্যাস হতে পারে। আপনি যদি অন্যান্য খাবার কম খেয়ে সারাদিন বা অতিরিক্ত পরিমাণে শসা খেতে থাকেন তাহলে আপনার পেট ব্যথা, বদহজোম, বমি ভাব, গ্যাসের সমস্যা, পেট ফাঁপা সহ আরো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও আপনার যদি খুব বেশি পরিমাণে ক্ষুধা লাগে তাহলে শসা খাবেন না। কারণ তখন যদি আপনি বেশি পরিমাণে শসা খান তাহলে আপনার গ্যাস হতে পারে। তাই শসা পর্যাপ্ত পরিমাণে খেয়ে নিজের শরীর সুস্থ রাখুন। আশা করি শসা খেলে কি গ্যাস হয় এই বিষয়ের সঠিক একটি উত্তর পেয়েছেন।

শসা খাওয়ার সঠিক সময়

আজকে আমরা এই আর্টিকেলের  অংশটুকুতে শসা খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। শসা কম বেশি সকলেই খেয়ে থাকি কিন্তু শসা খেতে হলে যে সঠিক নিয়মে খেতে হবে এটা কয়জন জানি? তাই এই আর্টিকেলে অংশটুকুতে এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি শসা খাওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে নিতে পারেন তাহলে আশা করি অনেক উপকৃত হবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।

আপনি যদি সকালে শসা খেতে পারেন তাহলে অনেক বেশি উপকার পাবেন। এছাড়াও আপনি যদি সকালে না খেয়ে দুপুরেও খেতে পারেন তাহলেও উপকার পাবেন। তবে সকালে যদি না খান তাহলে অবশ্যই আপনাকে দুপুরে খেতে হবে। তবে একটি বিষয় মাথায় রাখবেন রাতে শসা খেলে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই রাতে না হয় ভালো। তাই সবসময় সকালে কিংবা দুপুরের খাবারে শসা খাওয়া সবচেয়ে উত্তম।

শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আজকে আমরা আলোচনা করব শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আপনারা সকলেই শসা খেয়ে থাকেন কিন্তু এর যে উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে সেটা সম্পর্কে কয়জন জানেন? হয়তো অনেকেই জানেন না। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক একটি ধারনা দেয়ার চেষ্টা করব। তাই আপনারা যারা উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিন।

  • শসাতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
  • শসার মধ্যে ৯৫ ভাগ পানি বিদ্যমান থাকার কারণে শসা খেলে দেহের পানির ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও আপনার যদি কখনো এমন মনে হয় যে আপনি দিনে পানি খুব কম খেয়েছেন তাহলে সেই ঘাটতি পূরণের জন্য আপনি শসা প্রতিদিন খেতে পারেন।
  • শসায় প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও সিলিকন থাকার কারণে ত্বক সুন্দর রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই আপনারা যারা ত্বক সুন্দর করতে চান তারা শসা ব্যবহার করতে পারেন।
  • শসায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও উচ্চমাত্রায় পানি এবং নিম্নমাত্রার ক্যালোরি থাকে যার কারণে আমাদের শরীরের ওজন কমাতে অনেক বেশি সহায়তা করে। তাই যারা ওজন কমানো নিয়ে খুব চিন্তার মধ্যে রয়েছেন তারা শসা খেতে পারেন।  
  • শসায় যে পুষ্টি উপাদান রয়েছে সেগুলো কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে এবং এই শসায় পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার থাকার কারণে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেক বেশি সহায়তা করে। তাই যারা এই সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন শসা খেতে পারেন।
  • শসায় এরেপ্সিন নামক এক ধরনের এনজাইম রয়েছে যা আমাদের হজম শক্তি উন্নত করতে অনেক বেশি সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।
  • শসায় বেশিরভাগ পানি থাকার কারণে দেহের বিষাক্ত পদার্থ ও বর্জ্য দূর করতে সাহায্য করে এবং আমাদের শরীরের রক্ত পরিষ্কার রাখতে অনেক বেশি সহায়তা করে। পাশাপাশি এসিডিটি, আলসার, গ্যাসট্রাইটিস সহ এর মতো সমস্যাগুলো দূর করতে সাহায্য করে।
  • শসা খেলে কিডনি ভালো থাকে। শসা কিডনি সুস্থ রাখতে এবং সতেজ রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
  • এছাড়াও যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তারা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে চাইলে শসা খেতে পারেন। শসা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
  • শসা খেলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। মুখের ভেতরে থাকা টক্সিন, বর্জ্য পদার্থ, দূষিত গন্ধ দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে এই শসা।
  • এছাড়াও এই শসা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। যেমন দাউদ, একজিমা সহ ইত্যাদি।
  • শসা খেলে দাঁত ও দাঁতের মাড়ি অনেক বেশি ভালো থাকে। এছাড়াও হাতের নখ ভালো রাখে, মাথাধরা দূর করে, কিডনির সমস্যা দূর করে, গেটেবাত থেকে মুক্তি দেয়, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এছাড়াও অন্যান্য সমস্যা দূর করতে অনেক বেশি কার্যকর এই শসা। তাই আপনারা চাইলে এই সমস্যা থেকে বাঁচতে শসা খেতে পারেন।

শসা খাওয়ার অপকারিতা

সবকিছু যেমন ভালো খারাপ দিক রয়েছে ঠিক তেমনি শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে শসা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আপনি যদি এই বিষয়টি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই অংশটুকু থেকে জেনে নিন। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নিন।

অনেকেই ওজন বাড়ানোর জন্য শুধু শসা খেয়ে থাকেন। আর অন্যান্য খাবার খান না। কিন্তু এটা করা একদমই উচিত নয়। কারণ এটার ফলে আপনার অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যখন আপনি অন্য কোন খাবার না খেয়ে শুধু শসা খাবেন তখন আপনার ক্ষুধা বোধ হবে। আর ওই সময় আপনি বেশি বেশি শসা খেলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিবে। যেমন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, বমি বমি ভাব হওয়া, পেট ব্যথা করা, পেট ফাঁপা সহ আরো নানান ধরনের সমস্যা। তাই সবকিছুই পর্যাপ্ত পরিমাণ খেয়ে নিজের শরীর সুস্থ রাখুন।

শসা খাওয়ার নিয়ম

শসা খেতে অনেকেই পারে কেউ সকালে খায় কেউ দুপুরে খায় কেউ আবার রাতে খাই কিন্তু  শসা খাওয়ার একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে যে নিয়ম অনুযায়ী শসা খেলে  আপনি অনেক উপকার পাবেন তাই আজকে আমি এই আর্টিকেল এর অংশটুকুতে শসা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব তাই আপনি এই আর্টিকেলের অংশটুকু  ধৈর্য ধরে পড়তে পারেন তাহলে আশা করি এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে যাবেন তো চলুন আর দেরি না করে জেনে নিন। 

১। কখন খাবেনঃ

ভারী খাবারের পরঃ শসা হজমে সহায়তা করে। তাই ভারী খাবারের পর শসা খেলে হজমশক্তি ভালো থাকে এবং পেট ফোলাভাব কমে।

সকাল বা বিকেলের টিফিনেঃ শসা ক্যালোরি কম এবং পানিশূন্যতা দূর করে। তাই সকাল বা বিকেলের টিফিনে শসা খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

গরমের দিনেঃ শসায় প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। তাই গরমের দিনে শসা খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে এবং ডিহাইড্রেশন রোধ হয়।

২। প্রতিদিন কতটুকু খাবেনঃ

স্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন ১-২ টি শসা খাওয়া যথেষ্ট। বেশি খেলে পেট খারাপ হতে পারে।

৩। কিভাবে খাবেনঃ

কাঁচাঃ শসা সবচেয়ে বেশি উপকারী কাঁচা খেলে। সালাদ করে খেতে পারেন বা কাঁচা শসা চিবিয়ে খেতে পারেন।

রান্না করেঃ শসা রান্না করেও খাওয়া যায়। তবে রান্না করলে শসার কিছু পুষ্টি উপাদান নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

কিছু টিপসঃ

  • শসা কেনার সময় তাজা, সবুজ এবং শক্ত শসা কিনুন। শসার খোসা যেন মসৃণ এবং দাগহীন থাকে। শসা ধোয়ার সময় ভালো করে ধুয়ে শসা খাবেন তাহলে ভালো হবে। যদি আপনি শসা দীর্ঘদিন রেখে খেতে চান তাহলে শসা ফ্রিজে রেখে দিন এতে শসা দীর্ঘক্ষণ টাটকা থাকবে এর আপনি দীর্ঘদিন রেখে খেতে পারবেন। 
৪। যাদের শসা খাওয়া উচিৎ নয়ঃ

  • যাদের পেট খারাপের সমস্যা আছে তাদের খালি পেটে শসা না খাওয়াই ভালো।
  • যাদের কিডনিতে পাথর আছে তাদের শসা খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
৫। শসা শরীরের যা যা উপকার করেঃ
 
  • হজমশক্তি উন্নত করে
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
  • চোখের জন্য ভালো
  • ত্বকের জন্য উপকারী
  • ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে
  • ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে
শসা একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর সবজি। নিয়মিত শসা খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তাই আপনি চাইলে নিয়মিত খেতে পারেন। এই শসা শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। এছাড়াও শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। তাহলে বুঝতেই পারছেন শসা শরীরের জন্য কতটা উপকারী।

ত্বকে শসার উপকারিতা

আমরা অনেকেই শসা খেয়ে থাকি কিন্তু ত্বকের জন্য কয়জন ব্যবহার করি? এটা আমাদের শরীরকে শুধু ঠান্ডাই রাখে না পাশাপাশি ত্বকের যত্নেও অনেক উপকার মিলে। তাই আপনি যদি ত্বকে শসার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন। তবে ত্বক এমন একটি জিনিস যেটা সুন্দর করতে সবাই চায়। তাই এই শসার রস ত্বকে ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের দাগ মুক্ত হয়ে যাবে এবং অনেক উজ্জ্বলতা পাবে। তো চলুন আর দেরি না করে জেনে নিন।

১। দাগ মুক্ত ত্বকেরঃ শসার রসে প্রাকৃতিক ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে এটি আপনার ত্বকের যে কালচে দাগ রয়েছে সেগুলো দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই আপনি যদি ত্বকের কালচে দাগ দূর করতে চান তাহলে শসা নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।

ব্যবহার করবেন যেভাবেঃ প্রথমে এক চিমটি হলুদ নিবেন। এরপর শসার রস ও দই একসঙ্গে মিশ্রণ করে নিবেন। তারপর পেস্ট তৈরি করা হয়ে গেলে ত্বকের দাগযুক্ত স্থানে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে অপেক্ষা করুন। এরপর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এভাবে পেস্ট তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করতে পারলে আপনার ত্বকের দাগ আশা করি দূর হয়ে যাবে।

২। উজ্জল ত্বকের জন্যঃ অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন কাজকর্ম করার ফলে রোদে ঘুরতে হয়। এই রোদে পোড়া দাগগুলো দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে শসা। এই শসা আপনার দাগগুলো দূর করে ত্বক অনেক উজ্জ্বল ও ঝলমলে করে তোলে।

ব্যবহার করবেন যেভাবেঃ প্রথমে আপনাকে সামান্য পরিমাণে লেবুর রস ও মধু নিতে হবে এর সঙ্গে শসার রস মিশ্রণ করে নিতে হবে। এরপর ভালো করে মিশ্রণ করা হয়ে গেলে এই পেস্টটুকু ১০ থেকে ১৫ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে আপনার ত্বক অনেক উজ্জ্বল ও ঝলমলে হয়ে উঠবে।

৩। ডার্ক সার্কেল দূর করার জন্যঃ চোখের ফোলা ভাব, কালচে দাঁত পড়া, ক্লান্ত এই সমস্যাগুলো দূর করতে শসার রস খুবই কার্যকর। তাই আপনাকে প্রথমে একটি শসা নিয়ে গোল গোল করে কেটে নিতে হবে। এরপর সেই শসা চোখের উপরে কিছুক্ষণ দিয়ে রাখলে আপনার চোখের ফোলা ভাব, কালচে দাগ পড়া দূর হয়ে যাবে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ত্বকে শসার উপকারিতা সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।

এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।

আপনার আসলেই দৈনিক শিক্ষা ব্লগর একজন মূল্যবান পাঠক। শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এর আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
1 টা কমেন্টট
  • Arafat
    Arafat

    শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেক ভালো লিখেছেন।

এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।

comment url




Daily Education Blog