Bangla Status - (Md Julhas Uddin)

Md Julhas Uddin

No More Pain.

Life Is Struggle.

So Fight Every Time.

And Now, I Am Fighter..


যদি আপনি কাউকে ধোকা দিতে সক্ষম হন তাহলে ভাববেন না যে সেই মানুষটি বোকা।জেনে রাখুন, সেই মানুষটি আপনাকে বিশ্বাস করেছিল যার যোগ্য আপনি ছিলেন না।


প্রিয় মানুষের মৃত্যুও হয়তো এতটা কাঁদায় না যতটাকাঁ দায় প্রিয় মানুষের অবহেলা ।

---- হুমায়ুন আহমেদ।


হাজার মেয়েকে ভালবাসা কোনোপু রুষত্ব নয় । বরং প্রকৃত পুরুষ সেই , যে একটিমে য়েকে হাজারো উপায়ে ভালবাসে......।।


পৃথিবীতে প্রত্যেকের মোট প্রাপ্তি এবং অপ্রাপ্তির পরিমাণ সমান। আজ আপনার ভেতরে শূন্যতার হাহাকার? মনে রাখুন কাল আপনার কাছে পূর্ণতার প্রপ্তি উপচে পোড়বে। 


খারাপ থাকা বুঝিয়ে দেয় একদিন খুব ভালো ছিলাম।

মূল: "দূরত্ব বুঝিয়ে দেয় একদিন খুব বেশী নিকটে ছিলাম।



অবিশ্বাস করে ঠকার চেয়ে বিশ্বাস করে হারানো অনেক ভালো।

----সমরেশ মজুমদার।


ভালবাসা যেখানে গভীর নত হওয়া সেখানে গৌরবের...।।

___রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।



প্রত্যেকটি পথেরই নিজস্ব পথিক আছে, গন্তব্য আছে,

যার পথ ,সে ঠিকই চিনে নেবে! আজ ,কাল কিংবা পরশু.........।।

____মেহরাজ রিম্মি।



আমার পছন্দের কিছু বাণী


১. যে যে বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছে সে সেই বিষয়ে শিক্ষিত, কাজেই সবাই শিক্ষিত – নেপোলিয়ান


২. সেই যথার্থ মানুষ যে জীবনের পরিবর্তন দেখেছে

এবং পরিবর্তনের সাথে নিজেও পরিবর্তিত হয়েছে –

বায়রন


৩. অন্যকে বারবার ক্ষমা কর কিন্তু নিজেকে কখনোই

ক্ষমা করিও না – সাইরাস


৪. আমি চলে গেলে যদি কেউ না কাঁদে তবে আমার

অস্তিত্বের কোন মূল্য নেই – সুইফট


৫. বন্ধুর সাথে এমন ব্যাবহার কর যেন বিচারকের

শরণাপন্ন হতে না হয় – প্লেটো 


৬. একজন অলস মানুষ স্বভাবতই খারাপ মানুষ

– এস টি কোলরিজ



৭. যে মন খুলে হাসতে পারে না সেই পৃথিবীতে সবচেয়ে

অসুখী – জন লিলি



৮. সেই সত্যিকারের মানুষ যে অন্যের দোষত্রুতি

নিজেকে দিয়ে বিবেচনা করতে পারে।

– লর্ড হ্যলি ফক্স


৯. পুরুষের লক্ষ্য রাখা উচিত যত দিন বেশী তারা

অবিবাহিত জীবনযাত্রা করতে পারে – জর্জ বানাডস



১০. সবার সাথে যে তাল মিলিয়ে কথা বলে সে

ব্যক্তিত্বহীন – মার্ক টোয়াইন


১১. তুমি যদি কোনো লোককে জানতে চাও, তা হলে

তাকে প্রথমে ভালবাসতে শেখো॥

—লেনিন।


১২. অনুকরণ নয়, অনুসরণ নয়, নিজেকে খুঁজুন, নিজেকে

জানুন, নিজের পথে চলুন॥

—ডেল কার্নেগি।



১৩. দুর্ভাগ্যবান তারাই যাদের প্রকৃত বন্ধু নেই॥

—অ্যারিস্টটল।


১৪. এই পৃথিবী কখনো খারাপ মানুষের খারাপ কর্মের

জন্য ধ্বংস হবে না। যারা খারাপ মানুষের খারাপ কর্ম

দেখেও কিছু করেনা তাদের জন্যই পৃথিবী ধ্বংস হবে॥

—আইনস্টাইন।


১৫. সত্য একবার বলতে হয়; সত্য বারবার বললে মিথ্যার

মতো শোনায়। মিথ্যা বারবার বলতে হয়; মিথ্যা বারবার

বললে সত্য ৰলে মনে হয়॥

—হুমায়ূন আজাদ।


১৬. চিন্তা কর বেশি, বল অল্প এবং লেখ তার চেয়েও

কম॥

—জন রে।


১৭. যে নিজেকে দমন করতে পারে না সে নিজের

জন্যেও বিপদজনক এবং অন্য সবার জন্যেও॥

—থেলিস।


১৮. সফলতা সুখের চাবিকাঠি নয় বরং সুখ হল সফলতার

চাবিকাঠি। আপনার কাজকে যদি আপনি মনে প্রানে

ভালবাসতে পারেন অর্থাৎ যদি আপনি নিজের কাজ

নিয়ে সুখী হন তবে আপনি অবশ্যই সফল হবেন॥

—Albert Schweitzer.



১৯. আমি বলবনা আমি ১০০০ বার হেরেছি, আমি বলবো

যে আমি হারার ১০০০ টি কারণ বের করেছি॥

—টমাস আলভা এডিসন।



২০. আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেইস্বপ্নে আস্থা ছিল।

আর আমি কাজটা ভালোবাসতাম। ফেসবুক বিফল হলেও

আমার ভালোবাসাটা থাকত। জীবনে একটা স্বপ্ন

থাকতে হয়, সেই স্বপ্নকে ভালোও বাসতে হয়॥

—মার্ক জুকারবার্গ।


২১. পৃথিবীতে সবাই জিনিয়াস; কিন্তু আপনি যদি ১ টি

মাছকে তার গাছ বেয়ে উঠার সামর্থ্যের উপর বিচার

করেন তাহলে সে সারা জীবন নিজেকে শুধু অপদার্থই

ভেবে যাবে॥

—আইনস্টাইন।


২২. আমি ব্যর্থতা কে মেনে নিতে পারি কিন্তু আমি

চেষ্টা না করাকে মেনে নিতে পারিনা॥

—মাইকেল জর্ডান।



২৩. যারা আমাকে সাহায্য করতে মানা করে দিয়েছিল

আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। কারন তাদের ‘না’ এর জন্যই

আজ আমি নিজের কাজ নিজে করতে শিখেছি॥

—আইনস্টাইন।



২৪. আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার

বিস্তার হচ্ছে। পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয়,

এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুন্ঠিত হই॥

—প্রমথ চৌধুরী।


২৫. স্কুলে যা শেখানো হয়, তার সবটুকুই ভুলে যাবার পর

যা থাকে; তাই হলো শিক্ষা॥

—অ্যালবার্ট আইনস্টাইন।


২৬. যারা কাপুরুষ তারাই ভাগ্যের দিকে চেয়ে থাকে,

পুরুষ চায় নিজের শক্তির দিকে। তোমার বাহু, তোমার

মাথা তোমাকে টেনে তুলবে, তোমার কপাল নয়॥

—ডঃ লুৎফর রহমান।


২৭. কাল আমার পরীক্ষা। কিন্তু এটা আমার কাছে

বিশেষ কোন ব্যাপারই না, কারন শুধুমাত্র পরীক্ষার

খাতার কয়েকটা পাতাই আমার ভবিষ্যৎ নির্ধারন করতে

পারেনা॥

—টমাস আলভা এডিসন।


২৮. জন্মদিনের উৎসব পালন করাটা বোকামি। জীবন

থেকে একটা বছর ঝরে গেল, সে জন্যে অনুতাপ করাই

উচিত॥

—নরম্যান বি.হল।


২৯. আপনি যদি গরীব হয়ে জন্ম নেন তাহলে এটা আপনার

দোষ নয়, কিন্তু যদি গরীব থেকেই মারা যান তবে সেটা

আপনার দোষ॥

—বিল গেটস।



আমার পছন্দ অপছন্দ তো পোড়লেন আসুন আপনাকে একটু আপ্পায়ন করি .........


আমি কিছু জিনিস মেনে চলার চেষ্টা করি। সেগুলির মধ্যে কিছু কিছু শেয়ার করছি হয়ত আপনরও কাজে লাগবে :-


(বিঃ দ্রঃ কথাগুলো সুসান্ত পাল নামে

একজনের)


(১) প্রতিদিন ঘুমান গড়ে সর্বোচ্চ ৬ ঘণ্টা। বেশি সময় নয়, ভালভাবে ঘুমানোই বড় কথা। ঘুমানোর সময় অবশ্যই মোবাইল সাইলেন্ট করে আর ল্যাপটপ দূরে রেখে ঘুমাবেন।


(২) মোবাইলের ড্রাফ্টসে কিংবা একটা নোটবুকে আপনার মাথায় বিভিন্ন মুহূর্তে যে ভাল ভাল কথা কিংবা চিন্তাভাবনা আসে, সেগুলি লিখে রাখবেন। সাধারণত খুব সুন্দর চিন্তাগুলি দুইবার আসে না।


( ৩) প্রতিদিন ৩০ মিনিট নিয়ম করে কোন একটা মোটিভেশনাল বই পড়ুন কিংবা লেকচার শুনুন। এ সময় নিজের ইগোকে দূরে রাখবেন।


(৪) কোন সময় মন যদি খুব অশান্ত হয়ে যায়, এবং কিছুতেই সেটাকে শান্ত করা না যায়, তবে ১০ মিনিট হাঁটুন আর হাঁটার সময় নিজের পদক্ষেপ গুনুন। আরেকটা কাজ করতে পারেন। সেটি হল, মাথা থেকে সমস্ত চিন্তা বের করে দিয়ে মাথাটাকে সম্পূর্ণ ফাঁকা করে দিয়ে চুপ করে ১০ মিনিট আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা। বিবেকানন্দের পত্রাবলী কিংবা রবীন্দ্রনাথের ছিন্নপত্র পড়তে পারেন, রবীন্দ্রসংগীত শুনতে পারেন। মন শান্ত হয়ে যাবে।


(৫) প্রতিদিন সকালে উঠে সেদিন কী কী কাজ করবেন, সেটি একটা কাগজে ১০ মিনিটে লিখে ফেলুন। কাগজটি সাথে রাখুন। আগের দিনের চাইতে অন্তত একটি হলেও বেশি কাজ করার কথা লিখবেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মিলিয়ে নিন, সবগুলি করতে পেরেছেন কিনা।


(৬) স্টুপিডদের সঙ্গ এড়িয়ে চলুন কিংবা আপনার আশেপাশের লোকজনকে ভাল কিছু করার উৎসাহ দিন। আপনার আশেপাশের বন্ধুদের কাজ করার ধরণ এবং সফল হওয়ার অভ্যেস আপনাকে প্রভাবিত করতে পারে। আপনার স্বামী যত স্টুপিড হবে, আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্টুপিড হওয়ার সম্ভাবনা তত বেড়ে যাবে।স্টুপিড স্ত্রী অপেক্ষা স্টুপিড স্বামী পরিবারের জন্য বেশি বিপদজনক। আমি ছোটবেলা থেকে বাবাকে দেখেছি, বাবা যতক্ষণই কাজে থাকতেন, ততক্ষণ খুশিমনে থাকতেন। তখন থেকে আমার মধ্যে এই ধারণা হয়ে যায়, কাজের মধ্যে থাকলে খুশি থাকা যায়। আপনার ফ্যামিলি থেকে যা শিখেছেন, সেটা থেকে বেরিয়ে আসা সহজ নয়। তাই আপনি এমন কিছু আপনার ফ্যামিলিতে করবেন না, যেটা আপনার পরবর্তী প্রজন্মকে ওভাবে করেই ভাবতে শেখাবে।


(৭) যে কাজটা করা দরকার, সে কাজে জেদি হওয়ার চেষ্টা করুন। কাজটার শেষ দেখে তবেই ছাড়ুন।


(৮) যিনি আপনাকে তার জীবনে অপরিহার্য মনে করেন না, তাকে আপনার জীবনে অপরিহার্য মনে করার বাজেঅভ্যেস থেকে সরে আসুন। যে মানুষটা আপনাকে ছাড়াই সুস্থভাবে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন, তার জন্যে দম আটকে মরে যাওয়ার তো কোন মানে হয় না। আপনি যত বেশি তার জন্য ফিল করবেন, তিনি তত বেশি এক ধরণের অসুস্থ জয়ের আনন্দ উপভোগ করবেন। ভুল মানুষকে ভুলে থাকতে জানাটা মস্ত বড় একটা আর্ট। আপনি কত সময় ধরে তার সাথে ছিলেন, সেটা বড় কথা নয়; বরং সামনের সময়টাতে কত বেশি তাকে জীবন থেকে ডিলিট করে থাকতে পারবেন, সেটাই বড় কথা।


(৯) খুব দ্রুত পড়ার অভ্যাস করুন। পড়ার সময় কীভাবে অপ্রয়োজনীয় অংশগুলিতে চোখ বুলিয়ে যেতে হয়, সেটা শিখুন। প্রয়োজনীয় অংশগুলি দাগিয়ে দাগিয়ে বারবার পড়ুন এবং মাথায় সেগুলির একটা ফটোকপি রেখে দিন। এতে আপনার পড়ার কাজটা করার সময় কমে যাবে।


(১০) আপনার বর্তমান অবস্থার দিকে তাকান। দেখবেন, কিছু কিছু বিষয়ে স্রষ্টার অনুগ্রহে আপনি অনেক বিপদ কিংবা দুর্ভাগ্য থেকে বেঁচে গেছেন এবং ভাল আছেন। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে শুকরিয়া আদায় না করে ঘুমাবেন না। কৃতজ্ঞতাবোধ সম্মান, মানসিক শক্তি এবং শান্তি এনে দেয়।


(১১) দ্য সিক্রেট, আউটলায়ারস, দ্য সেভেন হ্যাবিটস অব হাইলি এফেক্টিভ পিপল, দ্য পাওয়ার অব নাউ, দ্য মঙ্ক হু সোল্ড হিজ ফেরারি, ইউ ক্যান উইন সহ বিভিন্ন মোটিভেশনাল বইপত্র পড়ুন। বিভিন্ন গ্রেটম্যানদের বায়োগ্রাফি বেশি বেশি পড়ুন। দ্য প্রফেট, গীতবিতান এবং বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থ অনুভব করে পড়ুন। এসব বই পড়ার সময় অবশ্যই বিশ্বাস করে পড়তে হবে। যদি আপনি পৃথিবীতে সবকিছুই যুক্তি দিয়ে বিচার করেন, তবে পৃথিবীতে বেঁচে থাকাটা আপনার জন্য কঠিন হতে পারে। তবে বইগুলিতে যা যা আছে, সেগুলির মধ্য থেকে আপনার দরকারি জিনিস গুলিকেই গ্রহণ করুন।


(১২) মাসে অন্তত দুইদিন রোযা রাখুন। রোযা মানসিক শক্তি বাড়ায়, সহনশীল এবং বিনীত হতে শেখায়।


(১৩) ব্যাগে অন্তত একটি ভাল বই রাখুন আর সুযোগ পেলেই পড়ুন। মোবাইলেও পিডিএফ আকারে বই রাখতে পারেন।


(১৪) প্রতিদিন অন্তত একজন ব্যক্তিকে সাহায্য করুন কিংবা ক্ষমা করে দিন। এতে আপনার নিজের প্রতি সম্মানবোধ বাড়বে। নিজেকে সম্মান করুন সবচাইতে বেশি।


(১৫) সপ্তাহে একদিন বাসার বারান্দায় দাঁড়িয়ে ভোর হওয়া দেখুন। এটি আপনার ভাবনাকে সুন্দর করতে সাহায্য করবে।


(১৬) একটা সহজ বুদ্ধি দিই : অন্য মানুষকে সম্মান করে না, এমন লোকের সঙ্গ এড়িয়ে চলুন। উদ্ধত লোকের কাছ থেকে তেমন কিছুই শেখার নেই।


(১৭) নিজের চারিদিকে একটা দেয়াল তৈরি করে রাখুন।সে দেয়ালেঘেরা ঘরে আপনি নিজের মতো করে নিজের কাজগুলি করার জন্য প্রচুর সময় দিন। এতে আপনি অন্যদের চাইতে একই সময়ে বেশি কাজ করতে পারবেন। সবাইকেই সময় দিলে আপনি নিজের কাজগুলি ঠিকমতো করতে পারবেন না।


(১৮) প্রতিদিন একটা ভাল বইয়ের অন্তত ৩০ পৃষ্ঠা না পড়ে ঘুমাতে যাবেন না। ফেসবুকিং করার সময় বাঁচিয়ে বই পড়ুন। বই পড়ে, এমন লোকের সাথে মিশুন। যে ছেলে কিংবা মেয়ে বই পড়ে না, তার সাথে প্রেম করার কিছু নেই। আর যদি ভালবেসেই ফেলেন, তবে তাকে বইপড়া শেখান।


(১৯) আপনার চাইতে কম মেধা আর বুদ্ধিসম্পন্ন লোকজনের সাথে সময় কম কাটান। তবে কখনওই তাদেরকে আঘাত করে কোন কথা বলবেন না। একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তির সাথে একবার কথা বলা ২০টা বই পড়ার সমান। ভুল লোকের সাথে সময় কাটানোর চাইতে একা একা থাকা ভাল।


(২০) প্রতিদিন আপনি যতটুকু কাজ করতে পারেন, তার চাইতে কিছু বাড়তি কাজ করুন। বাড়তি কাজটি ঠিকভাবে করতে পারলে নিজেকে কিছু কিছু উপহার কিনে দিন, কিংবা করতে ভাল লাগে, এমন কোন কাজ করুন।


(২১) সপ্তাহে একদিন ঘড়ি এবং মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে একেবারে নিজের মতো করে সময় কাটান। সেদিন বাইরের পুরো দুনিয়া থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলুন এবং যা যা করতে ভাল লাগে কিন্তু ব্যস্ততার কারণে করা হয় না, সেসব কাজ করে ফেলুন।


(২২) মাথায় যদি কোন উল্টাপাল্টা কিংবা নেতিবাচক চিন্তা আসে, তবে সেটিকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করবেন না; বরং আপনি নিজে সেটি থেকে বেরিয়ে আসুন।


(২৩) আপনার মোবাইল ফোনটা আপনার জন্য কেনা,অন্যের জন্য নয়। মাঝে মাঝে বেছে বেছে কল রিসিভ করুন। আমাদের বেশিরভাগ কলই গুরুত্বপূর্ণ হয় না, আর

সময়ও নষ্ট করে। যে কলটি আপনার মন কিংবা মেজাজ খারাপ করে দেবে বলে আপনি আগে থেকেই জানেন কিংবা বুঝতে পারেন, অপরিহার্য না হলে সেটি রিসিভ করবেন না।


(২৪) আপনি সম্মান করেন কিংবা পছন্দ করেন, এমন কোন ব্যক্তির ১০টি ভাল গুণ কাগজে লিখে ফেলুন। এরপর আপনি বিশ্বাস করুন যে, সে গুণগুলি আপনার মধ্যেও আছে

এবং যতই কষ্ট হোক না কেন, সে গুণগুলির চর্চা করতে থাকুন। উনি যেরকম, সেরকম হওয়ার অভিনয় করুন। উনি যেভাবে করে কাজ করেন, একই স্টাইলে কাজ করুন। এ

কাজটি ২ সপ্তাহ করে দেখুন, নিজের মধ্যে একটা পরিবর্তন দেখতে পাবেন।


(২৫) মাঝে মাঝে সফট মেলোডির ওরিয়েন্টাল কিংবা ওয়েস্টার্ন ইন্সট্রুমেন্টাল শুনুন; হেডফোনে কিংবা একা রুমে বসে। কিছু ভাল মুভি দেখুন। কিছু মাস্টারপিস

পেইন্টিং দেখুন। এবং একটা কাগজে একটা ভাল মিউজিক শুনে কিংবা মুভি আর পেইন্টিং দেখে আপনার কী অনুভূতি হল, লিখে ফেলুন। এটা ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।


(২৬) অন্যরা করার আগেই নিজেই নিজের বাজে দিকগুলি নিয়ে মাঝে মাঝে প্রকাশ্যে ঠাট্টা করুন। এতে করে আপনার নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়বে।


(২৭) প্রতিদিনই এমন দুটি কাজ করুন, যেগুলি আপনি করতে পছন্দ করেন না। করার সময় বিরক্ত লাগলেও থেমে যাবেন না। যেমন, এমন একটি বই পড়তে শুরু করুন, যেটি আপনার পড়া উচিত কিন্তু পড়তে ইচ্ছা করে না। কিংবা এমন একজনকে ফোন করুন যাকে ফোন করা দরকার কিন্তু করা হয়ে ওঠে না। কিংবা বাসার কমোডটি পরিষ্কার করে ফেলুন। এতে করে আপনার দ্রুত কাজ করার ক্ষমতা বাড়বে। যে কাজটি করতে গিয়ে অন্যরা ৩০ সেকেন্ডেই বিরক্ত হয়ে ছেড়ে দেয়ার চিন্তা করে, সেটি যদি আপনি অন্তত ২২ মিনিট ঝিম ধরে পারেন, তবে আপনি

অন্যদের চাইতে নিশ্চিতভাবে এগিয়ে থাকবেন।


(২৮) আপনি যেমন হতে চান, তেমন লোকের সাথে বেশি বেশি মিশুন। (খেতে পছন্দ করে, এমন লোকের সাথে মিশে আপনি ওজন কমাতে পারবেন না।)


(২৯) দিনে একবার টানা ৩০ মিনিটের জন্য মৌন থাকুন। ওইসময়ে কারোর সাথেই কোন কথা বলবেন না। খুব ভাল হয় যদি চোখ বন্ধ করে পুরোনো কোন সাফল্যের কিংবা সুখের কোন স্মৃতির রোমন্থন করতে পারেন। এটা

মানসিক শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।


(৩০) প্রায়ই ভাবুন, আপনি এই মুহূর্তেই মারা গেলে আপনার পরিবারের বাইরে আর কে কে আপনার জন্য কাঁদবে। ওরকম লোকের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য কী কী করা যায়, ভাবুন এবং করুন।


(৩১) আপনার হাতে মাত্র দুটো অপশন : হয় রাতে দেরিতে ঘুমাতে যান, অথবা সকালে ভোর হওয়ার আগে উঠুন। যদি রাতে সত্যিই একা থাকতে না পারেন, তবে সেকেন্ড

অপশনটাই বেটার, কারণ বেশিরভাগ লোকই রাতে জাগে আর গল্প করে সময় নষ্ট করে। ভোরের আগে উঠতে পারলে, আপনাকে বিরক্ত করার কেউ থাকবে না, তাই আপনি

পড়াশোনা করা ছাড়া আর তেমন কোন কাজই পাবেন না।ঘুমানোর সুখ আর ভোর দেখার আনন্দ একসাথে পাওয়াযায় না।


(৩২)আমরা যা-ই করি না কেন, সেটা যদি খুব

উল্লেখযোগ্য কিছু হয়, তবে সেটা নিশ্চয়ই অন্তত ১০ বছরের ১০ হাজার ঘণ্টার পরিশ্রমের ফলাফল। পৃথিবীতে কেউই রাতারাতি কিছু করতে পারে না।


(৩৩) কোন একটা কাজ করতে হুট করেই পরিশ্রম করা শুরু করে দেবেন না। আগে বুঝে নিন, আপনাকে কী করতে হবে, কী করতে হবে না। এরপর শুধু পরিশ্রম নয়, সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করুন।


(৩৪)পৃথিবীতে কেউই জিরো থেকে হিরো হয় না।আপনাকে ঠিক করতে হবে, আপনি কোন ব্যাপারটাতেহিরো হতে চাচ্ছেন। আপনি যে বিষয়টাতে আগ্রহ বোধকরেন না, কিংবা যেটাতে আপনি গুরুত্ব দেন না,সেটাতে সময় দেয়া মানে, স্রেফ সময় নষ্ট করা। আপনি যেটাতে সময় দিচ্ছেন, সেটাই একদিন আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে চেনাবে।


(৩৫) বুদ্ধিমত্তা আর অর্জনের মধ্যে সম্পর্ক খুব ভাল নয়। যার যত বেশি বুদ্ধি, সে তত বেশি এগিয়ে, এরকমটা সবসময় নাও হতে পারে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচাইতে ভাল রেজাল্ট-করা স্টুডেন্টদের শতকরা মাত্র ১৫ ভাগ গ্রেটদের তালিকায় নাম লেখাতে পারে। বাকি ৮৫ ভাগ আসে তাদের মধ্য থেকে যাদেরকে নিয়ে কেউ কোনদিন স্বপ্ন দেখেনি। তাই শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও নিজের সাথে লড়াই করে যান।

পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।

comment url